আলোকিত বাংলা ডেস্কঃ সুইটি। বয়স মাত্র ১২ বছর। বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার নবাবপুর গ্রাম । অভাবের তাড়নায় করোনাকালে দরিদ্র বাবা-মা তাকে রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দিয়েছেন। এই বাসায় সে গত ৯ মাস ধরে কাজ করছে। প্রায় প্রতিদিনই নানা অজুহাতে গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী তাঁকে মারধর করত। একপর্যায়ে মেয়েটিকে নির্যাতনের আঘাতের চিহ্নসহ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন এক প্রতিবেশী। ৩ জুলাই শনিবার রাতে ছবিগুলো পোস্ট করে তিনি দ্রুত সহযোগিতা ও আইনি ব্যবস্থার আহ্বান জানান। এর জেরেই এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর অপারেশনস মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ পুলিশের একটি টিম মেয়েটিকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত মো. তানভির আহসান এবং অ্যাডভোকেট নাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের পক্ষ থেকে মো. সোহেল রানা বলেন, ফেসবুক পোস্টের মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে এবং বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।