চৌধুরী এ এম মোর্শেদ শিবলীঃ ফেনী শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নিরলস কাজ করে যাচেছন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি।
কিন্তু কথার সাথে কাজের মিল রাখতে পারছেন না, তিনি। কিন্তু কেন পারছেন না? এমনই প্রশ্ন করবেন সাধারণ জনগণ। মেয়র দূষলেন পৌরবাসীকেই। তার প্রমাণ তিনি নিজেই দিলেন গত ২ দিন রাস্তায় রাস্তায় ড্রেনের পাশে থেকে। এক একটা ড্রেনের স্লেপ উল্টালেই পলিথিন, বোতল, ময়লা আবর্জনায় ভরা। পানি প্রবাহিত হওয়ার ড্রেনে পানি প্রবাহিত না হয়ে জটবদ্ধ হয়ে রয়েছে পলিথিন, বোতল আর আবর্জনা। জল প্রবাহের সুযোগ কই।
তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে পৌরসভা কি এগুলো পরিস্কার করেনি?
গত ২ মাস ধরে এগুলো পরিস্কারের কাজ করেই যাচেছন পৌরসভার পরিচছন্নতা কর্মীরা।
তা ছাড়া অধিকাংশ যায়গায় ড্রেনের উপর জায়গা দখল করে দোকানপাট করে ফেলায় ড্রেন পরিস্কার করার জো নেই। তাহলে কি করবেন এখন মেয়র? অবৈধ দোকান গুলো উচ্ছেদ করা ছাড়া উপায় কি?
পৌরসভার নাগরিকরা অকটু সচেতন হলেই এই জলবদ্ধতার হাত থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি পৌরবাসীকে অনুরোধ করেছেন, প্লাস্টিক বোতল, পলিথিন,ময়লা আবর্জনা যেন বাইরে যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলেন সবাই।
তিনি ৩০ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাতে ( ৩১ জুলাই) ফেসবুকে পৌরবাসীর প্রতি লিখেছেন, ( মেয়রের লেখা হুবহু আলোকিত বাংলা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো)।
“লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একটাই, পৌরবাসীকে জলবদ্ধতা হতে মুক্তি দেয়া। “
‘ঝড়ো বৃষ্টিতে আকস্মিক সৃষ্ট জলবদ্ধতা থেকে পৌরবাসীকে রেহাই দিতেই জলবদ্ধতা নিরসনের অভিজ্ঞ পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়ে গঠিত বিশেষ টিম সকাল ৬ টা থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।
এই দূর্যোগ মূহুর্তে কাজ করতে গঠিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কে রেইনকোর্ট প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু কি লাভ 2 মাস আগে ফেনী পৌরসভার মূল ড্রেন গুলো পরিষ্কার করে রেখেছি। কিন্ত সুফল তো পৌরসভার নাগরিকেরা পায়নি। কারণ আপনারা দেখেন আজকেও শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে ড্রেনে এই ময়লা গুলো পাওয়া গেছে। দেখেন আজ অনেকগুলো জাল আমরা নিয়ে এসেছি। ড্রেনের মধ্যে মানুষ মাছ ধরার জন্য জাল বসায় রাখছে। তাহলে কি ভাবে পানি সরবে। এই সমস্ত
ময়লা গুলার মানুষ ডাস্টবিনে রাখার কথা। সেখানে না রেখে ড্রেনের মধ্যে ফেলে। আর কি বলব আমরা আজও পরিচ্ছন্নকর্মীদের কে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় কাজ করে যাচ্ছি ড্রেন গুলা পরিষ্কার করে যাচ্ছি।
মানুষ ভুল করে ময়লা ড্রেনের মধ্যে ফেললে আর ইচ্ছে করে ফেললে কিছু বলার নাই, তারা পৌরসভার নাগরিক। আমরা সেবক কাজ করে যাবো এবং যাচ্ছি, আপনারা ভালো থাকবেন শুধু আমাদের জন্য দোয়া করবেন আমরা যেন প্রতিদিন এই ময়লা গুলো পরিষ্কার করতে পারি।
।এই গুলো আজকের চিত্র।
।ড্রেনে থাকার কথা পানি। পাইলাম কি আপনারা একটু দেখেন।””