আলোকিত বাংলা রিপোর্টঃ ফেনীর আলোচিত স্বর্ণ ডাকাতি মামলা তদন্তে নতুন মোড় নিয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৬ পুলিশ অফিসারকে দু’দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে ছামদুল করিম ভুট্টু নামের একজনকে।
গ্রেফতারকৃত ভুট্টু ডাকাতি মামলার বাদী গেপাল কান্তি দাসের সাবেক পার্টনার। ছমদুল করিম ভুট্টুকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে ফেনীতে আনার পর রোববার রাতে ফেনীর আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
ভুট্টু ও গোপাল দুজনের বাড়ী কক্সবাজার জেলায়। ভুট্টুর কুতুবদিয়া থানার দক্ষিণ ধুরং গ্রামে। আর মামলার বাদি গোপাল কান্তির বাড়ি চকরিয়াতে। তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরের হাজারী লেনের ইকুইটি কোহিনূর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ‘আলো জুয়েলার্স’ নামে একটি স্বর্ণের দোকান পরিচালনা করেছেন। ব্যবসায়িক বনিবনা না হওয়ায় কয়েকমাস আগে তারা পৃথক হয়ে যায়। মূলত ব্যবসায়িক বিরোধের জেরেই ভুট্টু ফেনী জেলা ডিবি পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে এই স্বর্ণ লুটের পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনায় গত ৮ আগস্ট বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারব্রিজের সামনে ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের ৬ কর্মকর্তা গোপাল কান্তি দাসের কাছ থেকে ২০টি সোনার বার ছিনতাই করেন বলে দাবী গোপাল কান্তির। এই ২০টি স্বর্ণের বারের মোট ওজন ২ কেজি ৩৩০ গ্রাম। যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩৬ টাকা বলে জানান গোপাল কান্তি।
এরমধ্যেই মামলার আসামী ফেনী ডিবির ওসিরসহ ৬ বরখাস্তকৃত পুলিশ কর্মকর্তা ও মামলার নথি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিকেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ১০ আগস্ট রোববার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মো. সাইফুল ইসলাম ভুইয়া, এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, এএসআই অভিজিত বড়ুয়া ও এএসআই মাসুদ রানাকে
গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বারগুলো ওসি ডিবির বাসায় রয়েছে বলে জানায়। পরে ডিবির ওসি সাইফুলের বাসার আলমিরার ড্রয়ার থেকে ১৫টি স্বর্নের বার উদ্ধার করা হয়।