ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আরও সতর্ক হতে বলেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) এক রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার ৩ টি পর্যবেক্ষণ দেন।
আদালত বলেছেন, কার্যালয়ে বসে নয়, ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট আইনের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের যথাযথ প্রশিক্ষণও নিশ্চিত করতে হবে।
বাল্যবিয়ের অভিযোগে নিজের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুই শিশুকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় এক রিট আবেদনের নিষ্পত্তির বিষয়ে বিচারপতিদ্বয় ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ পর্যবেক্ষণ দেন।
আবেদনকারী পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
শিশির মনির পরে বলেন, নেত্রকোণায় বাল্যবিয়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই শিশুকে সাজা দিয়েছিলেন। চিঠির মাধ্যমে সে বিষয়টি আমি হাইকোর্টের নজরে এনেছিলাম। আজকে বিষয়টির পরিপূর্ণ শুনানি শেষে নিষ্পত্তি হয়েছে। আদালত তিনটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
পর্যবেক্ষণ তিনটি হল- আইন প্রয়োগের ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আরও সতর্ক হওয়া দরকার। সংশ্লিষ্ট আইনের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা দরকার। কার্যালয়ে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না, ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া গত ১ অগাস্ট নিজের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্য বিয়ের অভিযোগে দুই শিশুকে এক মাসের আটকাদেশ দেন।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর ৪ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির এক চিঠিতে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন।