আলোকিত বাংলা রিপোর্টঃ ফেনীর ফুলগাজীর মেয়ে খালেদা ইসলাম অমি (২৫) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল স্হানান্তর করা হয়েছে। আজ ৬ সেপ্টেম্বর অমিকে
ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। পরশুরামে অমির শ্বশুর বাড়ীর লোক জন সাপ দিয়ে অপচিকিৎসার নামে নির্যাতনের পর এবার অমি নিজ বাড়ীতে এসিড সন্ত্রাসের কবলে। গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নে অমির ঘরের জানালা দিয়ে তার গায়ে এসিড নিক্ষেপ করা হয়। এসিডে অমির মুখ, গলা ও হাত ঝলসে গেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গৃহবধূ অমি বাড়িতে একা ছিলেন। তার বাবা-মাসহ সবাই বাড়ির বাইরে ছিলেন। এসময় তাকে জানালা দিয়ে এসিড ছোড়া হয়। গৃহবধূ তার পরিবারকে জানিয়েছেন তার স্বামী পক্ষের দুই জন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি তাদের চিনতে পেরেছেন।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. ইকবাল হোসেন ভূঁঞা জানান, এসিডে অমির মুখমন্ডল, গলা ও হাতের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছে।
ফুলগাজী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের জানান, এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, মো. তারেক মজুমদার (২৫) ও আবদুল্লাহ আল মিনার (১৯)।
উল্লেখ্য, প্রায় ৫ বছর আগে ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুরের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে খালেদা ইসলাম অমির সঙ্গে পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামের প্রবাসী লিখন আহমেদের বিয়ে হয়।
অমির পরিবার অভিযোগ করে, বিয়ের পর থেকে লিখনের মা ও ভাই-বোনরা মিলে খালেদাকে যৌতুকের জন্য নানা নির্যাতন করতে থাকে। গত ৭ আগস্ট চিকিৎসার নামে সাপ দিয়ে অপচিকিৎসার নামে নির্যাতন করা হয়। এরপর গৃহবধূ অমিকে বাবার বাড়ীতে রেখেই চিকিৎসা করা হয়। এ ঘটনায় অমির পরিবারের পক্ষ থেকে ফুলগাজী থানায় মামলা করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ অমির ননদ হাসিনা আক্তার ও ননদের স্বামী আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।