আলোকিত বাংলা রিপোর্টঃ দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ফেনীর ছাগলনাইয়ার ১০ নং ঘোপাল ইউনিয়নে সম্ভব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশে বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক পাওয়ার জন্য একাধিক প্রার্থী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছে ক্লিন ইমেজের বেশ কয়েকজনের নাম। ঘোপাল ইউনিয়ন ঘুরে এসে আমাদের প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় আছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এফ এম আজিজুল হক মানিক। মানিক ঘোপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সমর্থনের পাশাপাশি তৃণমূলের ও সমর্থন পাবেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। পাশাপশি
সাজেদুল ইসলাম ভূঁইয়া সবুজ আওয়ামি লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন। অনেকেই মানিক চেয়ারম্যানের বিকল্প সবুজকে চিন্তা করলেও তৃণমূলের ভোটে কতটা সুবিধা পাবেন তা নিয়ে এলাকার চায়ের কাপে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আওয়ামীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন, মোঃ সেলিম ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিজ।
এদিকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম উঠে আসছে তারা এলাকায় সমাজকর্মী ও সমাজ সেবক হিসেবে পরিচিত মুখ। সমাজ উন্নয়নে ও গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দীর্ঘ দিন ধরে ঘোপাল ইউনিয়নে কাজ করে যাচেছন প্রফেসর মোর্শেদ হোসেন। মোর্শেদ হোসেন ফেনী জেলা বেসরকারী কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, অন্যদিকে লায়ন্স ক্লাব এর নেতা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতা ও উপদেস্টা হিসেবে কাজ করছেন ফেনী জেলায়। দল মত নির্বিশেষে সুশীল সমাজের প্রার্থী হিসেবে প্রফেসর মোর্শেদ হোসেন চেয়ারম্যান পদে লড়তে পারেন বলে এলাকায় গুন্জন চলছে। অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক মানুষ ইউনাইটেড ট্রাস্টের ফেনী জেলা কোঅর্ডিনেটর মোঃ ফয়সাল ভূঁইয়া রাজীব এর নাম ও উঠে আসছে ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নামের তালিকায়।
ইউনিয়নের ০৯ টি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় সাধারণ জনগণ ও তৃণমূলের কর্মীদের নিকট বেশ জনপ্রিয় অবস্থানে আছে বর্তমান চেয়ারম্যান এফ এম আজিজুল হক মানিক। বিগত সময়ে তার উন্নয়ন মুলক কাজ,সামাজিক ন্যায়বিচার, সহ অবস্থানের রাজনীতি এবং মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানুষ তাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করেছে বলে দাবী মানিক ভক্তদের। ভক্তদের দাবী স্থানীয় জনগণ এবারো তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। অন্যদিকে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রফেসর মোর্শেদ হোসেন এর রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। এলাকায় বিগত সময়ে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি মানুষের বিপদে আপদে সুখে দুঃখে প্রফেসর মোর্শেদ পাশে রয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
কৃষক – শ্রমিক – মেহনতি মানুষ থেকে শুরু করে ইউনিয়নের তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে সার্বক্ষনিক মাঠে রয়েছেন তিনি। প্রফেসর মোর্শেদ স্থানীয় যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে রূপান্তরিত করে সমাজের জন্য কাজ করে ইতিমধ্যে মানুষের হৃদয় কেড়েছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। ঐ এলাকার তরুন ব্যবসায়ী রফিকের মতে ‘পরিচ্ছন্ন ক্লিন ইমেজের এই মানুষটিকেও দলমত নির্বিশেষে সকলে পচন্দ করেন। সকল শ্রেনি পেশার মানুষের নিকট তিনি সমান জনপ্রিয়।’ এদিকে ইউনাইটেড ট্রাস্টের ফেনী জেলা কোঅর্ডিনেটর মোঃ ফয়সাল ভূঁইয়া রাজীব ইউনিয়নে শিক্ষা,স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে কাজ করে বেশ জনপ্রিয় অবস্থায় আছেন। মানবিক এই সমাজকর্মীও এবারে নির্বাচনে বেশ আলোচনায় আছেন বলে জানিয়েছেন এলাকার অনেকে। অন্যদিকে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক এর রয়েছে বিশেষ কিছু ভোট তবে গত নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিক পেতে মারিয়া সবুজ ও সেলিম। এ দুজনের একজন মনোনয়ন পেলে ভোটের হিসাব নিকাশ পাল্টে যেতে পারে। এলাকাবাসী এখন অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।