আলোকিত বাংলা রিপোর্ট || রোববার (২১ মার্চ) রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের পৃথক করা হয়। এখন জ্ঞান ফিরেছে আড়াই বছর বয়সী এই দুই শিশুর।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জোড়া দুই শিশুকে ঢামেকের নিউরোসার্জারি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফুল উল হকের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার হয়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. অসিত চন্দ্র সরকার ও অন্য চিকিৎসকরা। ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করে লাবিবা-লামিসা। তাদের গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার যদুনাথপাড়ায়।তাদের বাবা মো. লালমিয়া একজন নির্মাণশ্রমিক। মাতা মনুফা আক্তার।
জন্মের নয় দিন পর ঢামেক হাসপাতালে শিশু দুটিকে নিয়ে এসেছিল তাদের পরিবার। এরপর থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসা চলছিল। গত ২৮ নভেম্বর ঢামেকের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয় শিশুদের। এরপর তাদের আলাদা করার জন্য প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার করা হয় গেল বছরের ১৩ ডিসেম্বর। তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে এই অস্ত্রোপচার। হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফুল উল হক বলেন, শিশুদের প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার করেছি। মূল অপারেশনে যেতে আরেকটু সময় লাগবে। তাদের শরীরে পর্যাপ্ত টিস্যু না থাকায় চামড়ার নিচে দুটি সিলিকন বল স্থাপন করা হয়েছে।
ডা. আশরাফুল উল হক বলেন, আশা করি শিশু দুটির যোনিদ্বার ইনজুরি ছাড়াই পৃথক করতে পারব। যোনিদ্বার পৃথক করার ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর মূল অপারেশন করা হবে। নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের লাল মিয়া-মনুফা আক্তারের সন্তান লাবিবা-লামিসা।
উল্লেখ্য, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ২০১৭ সালে জোড়া লাগা তোফা-তহুরা ও ২০১৯ সালে রাবেয়া রোকাইয়াকে সফলভাবে আলাদা করা হয়।