তানভীর আহমেদ || প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছে লাখো মানুষ। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, সড়ক, নৌ ও আকাশ পথে মানুষের ভিড় বাড়ছে। ঘরমুখী মানুষের স্রোত নেমেছে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। দুপুরের পর তা আরও বেড়েছে। সন্ধ্যাতেও সে ভিড় কমেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই একেকটি বিশাল লঞ্চ পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে মানুষে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৯০টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
এদিকে, ভিড় বেশি হওয়ায় অনেকেই লঞ্চে উঠতে পারেননি। পরবর্তী লঞ্চের জন্য টার্মিনালে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এই অপেক্ষাটা অনেকের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে, সেজন্য বারবার বিআইডব্লিউটিএ’র নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে মাইকে সতর্কবার্তা প্রচার করে নৌ পুলিশ। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সদরঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়াগামী অগ্রদূত-১০ লঞ্চের ডেক যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেলেও তা সদরঘাট ছেড়ে যাচ্ছিল না। কারণ জানতে চাইলে লঞ্চের ম্যানেজার জানান, সাড়ে ৬টার আগে লঞ্চ ছাড়বে না। লঞ্চ মানুষে পরিপূর্ণ হলেও ঢাকা থেকে তুষখালিগামী লঞ্চ এমভি মানিক-১ এর সুপারভাইজার রাকিব হোসেন বলেন, ‘এখনো লঞ্চ ভরেনি। ভিআইভি যাত্রী আছে। তারা আসবে ৭টায়। এর পর ছেড়ে যাবে লঞ্চ।’
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের যাত্রী ফোরকান হোসেন বলেন, ‘দুপুর দেড়টায় লঞ্চ ভরে গেছে। তবু, ছাড়ছে না। কেবিনের যাত্রী আসবে সন্ধা সাড়ে ৬টায়। এর পর লঞ্চ ছাড়বে।’ রাজধানী থেকে পটুয়াখালীতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘লঞ্চ ঘাটে অনেক ভিড়। কষ্ট করে লঞ্চে উঠেছি। এত ভিড়ের মধ্যে লঞ্চে ওঠা কষ্টকর।’
সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদার বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদযাত্রায় নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি যেন না থাকে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’ বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘরমুখী যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’